বরিশাল জেলার দর্শনীয় স্থান হলো: দয়াময়ী দেবী মন্দির, মহেন্দ্র রায়ের জমিদার বাড়ি, শ্রীরামপুর জমিদার বাড়ি, সোনারচর বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য, রায়েরকাঠী জমিদার বাড়ি, টেংরাগিরি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য, শুভ সন্ধ্যা সমুদ্র সৈকত, হরিণঘাটা পর্যটন কেন্দ্র, অশ্বিনীকুমার টাউন হল,
কড়াপুর মিয়াবাড়ি মসজিদ, কমলাপুর মসজিদ, শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত সেতু, সরকার মঠ, জ্যাকব, টাওয়ার,কসবা মসজিদ, কালেক্টরেট ভবন, বরিশাল, নসরত গাজীর মসজিদ, নাটু বাবুর জমিদার বাড়ি, বিবির পুকুর,
বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল স্মৃতি জাদুঘর,বোরহানউদ্দিন চৌধুরীর জমিদার বাড়ি, সজীব ওয়াজেদ জয় ডিজিটাল পার্ক, কীর্ত্তিপাশা জমিদার বাড়ি, গালুয়া পাকা মসজিদ, ধানসিঁড়ি ইকোপার্ক, সাতুরিয়া জমিদার বাড়ি, সিদ্ধকাঠী জমিদার বাড়ি, কুয়াকাটা ইকোপার্ক, কুয়াকাটা জাতীয় উদ্যান।
শেরে বাংলা স্মৃতি যাদুঘর
বানানীপাড়া উপজেলার চাখার ইউনিয়নে শেরে বাংলা একে ফজলুল হকের বসত ভিটায় ২৭ একর জায়গায় শেরে বাংলা স্মৃতি জাদুঘর রয়েছে। শেরে বাংলা একে ফজলুল হক তার পিতার মৃত্যুর পরে কলকাতা হাইকোর্টে আইন ব্যবসার জন্য ১৯০১ সালে বরিশাল আসেন।
আইন ব্যবসার পাশাপাশি চাখার জমিদারিত্বে দেখাশুনা করত। শেরে বাংলা একে ফজলুল হক ১৯৮৩ সালে সংস্কৃতি বিষয়ক ইতিহাস ও স্মৃতি নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে শেরে বাংলা স্মৃতি যাদুঘরটি নির্মান করেন।স্থানীয় লোকদের কাছে যাদুঘরটি চাখার প্রত্নতাত্ত্বিক যাদুঘর হিসেবে পরিচিত।
যাদুঘরে যা কি আছে
শেরে বাংলা যাদুঘরটিতে পাঁচটি কক্ষ রয়েছে, তারমধ্য তিনটি প্রদর্শনী কক্ষ, একটি বিশ্রামাগার, একটি গ্রন্থাগার ও একটি অফিস কক্ষ রয়েছ। আরো রয়েছে বিরল আলোকচিত্র, চিটিপত্র, সুন্দরবনে শিকার করা কুমিরের মমি, ব্যবহৃত আসবাবপত্র, কালো পাথরের শিবলিঙ্গ, অষ্টভুজ আকৃতির মারীচি দেবী মূর্তি, ব্রোঞ্জর বৌদ্ধ মূর্তি, স্বর্ণমূদ্রা, রৌপ্য মূদ্রা, শ্রীলংকার তাম্র মুদ্রা, ব্রিটিশ ও সুলতানি আমলের তাম্র মুদ্রা, পাথরের ছোট শিবলিঙ্গ মুর্তি ইত্যাদি।
শেরে বাংলা যাদুঘরে বাম দিকে শেরে বাংলা একে ফজলুল হকের একটি প্রতিকৃতি এবং পাশে তার জীবন কর্মের ইতিহাস, রাজনৈতিক, সামাজিক ও পারিবারিক ছবি, পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত ছবি রয়েছে। বর্তমানে প্রত্নতাত্তিক যাদুঘর হিসেবে এটি সবার কাছে অতি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছ। শেরে বাংলা একে ফজলুল হকের স্মৃতি ও ইতিহাস নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে যাদুঘরটি গুরুপ্তপূর্ন ভূমিকা রাখে।